হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) কেন তারাতাড়ি বিয়ে করতে বলেছেন? এই বিষয়ে বিজ্ঞান কি বলে?
চাঁদপুরীয়ানঃ
বিবাহ একটি পবিত্র বন্ধন। যার মাধ্যমে দুইটি পরিবারের দুইটি মানুষ একটি বন্ধনে আবদ্ধ হয় । বিয়ের মাঝে আছে অবিরাম সুখ আর মানসিক প্রশান্তি। তাই হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) তারাতাড়ি বিয়ে করার জন্য তাগিদ দিয়েছেন।
তবে বর্তমানে আমাদের সমাজ একটা ধারণা বিরাজমান। প্রতিষ্ঠিত হয়ে বিয়ে করতে হবে। কিন্তু না, আল্লাহ ও আল্লাহর রাসুল হযরত মোহাম্মদ (সাঃ) দ্রুত বিয়ে করার জন্য তাগিদ দিয়েছেন। কারন দ্রুত বিয়ে করার মাঝে অনেক সুফল রয়েছে।
রাসুলুল্লাহ (সাঃ) বলেন, যে যখন বান্দা বিবাহ করল,নিশ্চই সে তার দ্বীনের অর্ধেক পূরণ করল এবং বাকি অর্ধেক সম্পর্কে আল্লাহকে ভয় করবে। (মেশকাত শরীফ)
আজ আমরা আলোচনা করবো হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) কেন তারাতাড়ি বিয়ে করতে বলেছেন? দ্রুত বিয়ে করার বিষয়ে বিজ্ঞান কি বলে? এর সুফল।
বুখারী ৫০৬৫; মুসলিম ১৪০০ হাদিস শরিফে এসেছে, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, হে যুবসমাজ! তোমাদেরমধ্যে যারা বিবাহের সামর্থ্য রাখে, তাদের বিবাহ করা কর্তব্য। কেননা বিবাহ হয় দৃষ্টি নিয়ন্ত্রণকারী, যৌনাঙ্গের পবিত্রতা রক্ষাকারী। আর যার সামর্থ্য নেই সে যেন রোজা পালন করে। কেননা রোজা হচ্ছে যৌবনকে দমন করার মাধ্যম।
আর অল্প বয়সে বিয়ে করার মাঝে রয়েছে অনেক সুফল যেমনঃ
- ১.বাজে চিন্তা থাকে না। যেনা ব্যাভিচার থেকে বেঁচে থাকা যায়। যুবক বয়সেই আল্লাহ পাকের খুব প্রিয় হওয়া যায় এবং ইবাদতে স্বাদ পাওয়া যায়।
- ২. আপনি যদি বয়স ৩০ পার করে বিয়ে করেন, তাহলে স্বাভাবিক ভাবেই আপনার বয়সের কারণে আপনার মধ্যে যে গাম্ভীর্য চলে আসবে তার জন্য সম্পর্ক খুব বেশি ঘনিষ্ঠ ও মধুর হবে না, বরং ব্যাপারটি তখন এমন হবে যে বিয়ে করার কথা ছিল তাই বিয়ে করেছি, এ কারণেই আবেগ থাকতেই বিয়ে করা উত্তম।
- ৩. বেশি বয়সে বিয়ে করলে স্বামী-স্ত্রী নিজেদের জন্য খুব বেশি সময় পান না। বরং বছর ঘুরতেই সন্তান দায়িত্ব এসে কাঁধে এসে পরে, আর একবার সন্তান হয়ে গেল দু'জনে একান্তে কাটানোর মতো সময় হয়ে উঠে না, তাই অল্প বয়সে বিয়ে করলে সঙ্গীর-সঙ্গে একান্ত কাটানোর মতো অনেকটা সময় পাওয়া যায়, যার ফলে সম্পর্ক ভালো ও মধুর থাকে।
- ৪. অল্প বয়সে বিয়ে করলে স্বামী-স্ত্রী ২ জনে মিলে মিশে জীবনের সবকিছু ভাগাভাগি করে নেয়া যায় এবং প্রত্যেকের মানসিক ও কম অনুভব হয়।
- ৫. মানুষের গড় আয়ু কিন্তু কমছে, আর আপনি দেরিতে বিয়ে করলে সন্তান মানুষ করার বিষয়টাও পিছিয়ে যাবে এবং আপনার মানসিকতা ও কিন্তু দিনদিন নষ্ট হতে থাকবে। তাই একটু কম বয়সে বিয়ে করলে সন্তানের জন্য খুব ভালো পিতা উদাহরণ হতে পারবেন।
কারন বাইহাকি ৮১৪৫ হাদিসে এসেছে, রাসূল (সাঃ) বলেছেন, ❝ তোমাদের মাঝে যার কোনো (পুত্র বা কন্যা) সন্তান জন্ম হয় সে যেন তার সুন্দর নাম রাখে এবং তাকে উত্তম আদব কায়দা শিক্ষা দেয়; যখন সে বালেগ অর্থাৎ সাবালক-সাবালিকা হয়, তখন যেন তার বিয়ে দেয়; যদি সে বালেগ হয় এবং তার বিয়ে না দেয় তাহলে, সে কোনো পাপ করলে উক্ত পাপের দায়ভার তার পিতার উপর বর্তাবে। ❞
তাই দ্রুত বিয়ে করার উচিত। এবং এতে অনেক সুফল ভোগ করা যায়।
Comments
Post a Comment