স্বামীকে 'ভাই' স্ত্রীকে 'বোন' বলা যাবে কি না? ইসলাম কি বলে জেনে নিন।

স্বামীকে 'ভাই' স্ত্রীকে 'বোন' বলা যাবে কি না?  ইসলাম কি বলে জেনে নিন।


চাঁদপুরীয়ানঃ 


বিবাহ একটি পবিত্র বন্ধন। আর এই পবিত্র বন্ধনে আবদ্ধ হতে হলে ইসলামের বেশকিছু বিধান রয়েছে। সেগুলে অনুসরণ করতে হয়। 


মহান আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কোরআনে ঘোষণা করেন- মাতা, দুধ মা, বোন, দুধ বোন, কন্যা, খালা, ফুফু, ভ্রাতৃকন্যা, ভগণীকণ্যা, স্ত্রীদের মাতা, ঔরসজাত পুত্রদের স্ত্রী, দুই বোনকে একত্রে বিয়ে করা হারাম, অন্যের বৈধ স্ত্রীকে বিয়ে করা হারাম, তোমরা যাদের সঙ্গে সহবাস করেছ, সে স্ত্রীদের কন্যা যারা তোমাদের লালন-পালনে আছে। যদি তাদের সাথে সহবাস না করে থাক, তবে এ বিয়েতে তোমাদের কোন গোনাহ নেই।


আল-কুরাঅনের ঘোষণা অনুসরণে এই সব রক্তের সম্পর্কের মাঝে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হওয়ায় যাবে না। 


আমরা অনেকেই খেলা বা মজার ছলে স্ত্রীকে বোন। স্বামীকে ভাই বলে সম্বোধন করি। এই বিষয়ে ইসলাম কি বলে চলুন জেনে নেই। 


বাংলাদেশের অন্যতম ইসলামিক স্কলার শায়েখ আহমাদুল্লাহ এর কাছে জানতে চাওয়া হয়, স্বামীকে ভাই বলা যাবে কি না? 


এ বিষয়ে তিনি বলেন , স্বামীকে ভাই বা স্ত্রীকে বোন ডাকার বিষয়ে একটি হাদিসে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। সেই হাদিসের আলোকে বলা যায়, সম্পর্ক নষ্ট হয়ে যাবে না বা তালাক হয়ে যাবে না। তবে এটি ইসলামের বিধান অনুযায়ী না ডাকাই ভাল। 



একই প্রশ্ন উত্তরে ড. আবুবকর মুহাম্মদ যাকারিয়া বলেন, স্বামীকে ভাই বললে সম্পর্ক হারাম হয়ে যাবে না, তবে এটা মাকরূহ। যদি আমরা দেখি যে কেউ স্বামীকে ভাই বলে ডেকেছে তাহলে আমাদের উচিত তাকে সচেতন করা। 


হাদিসে এসেছে, ‌'এক ব্যক্তি নিজ স্ত্রীকে বলল, হে আমার বোন। রাসূল (সা:) তা শুনে জিজ্ঞেস করলেন, 'সে কি তোমার বোন?' তিনি তা অপছন্দ করেন এবং তাকে এভাবে ডাকতে নিষেধ করেন।' (সুনানে আবু দাউদ, হাদিস : ২২০৪)



স্বামীকে ভাই ডাকার ব্যাপারটিও ঠিক তেমনই। অর্থাৎ স্বামীকে ভাই বলে সম্বোধন করা অনুচিত। তবে কেউ এমন বলে ফেললে এর কারণে বৈবাহিক সম্পর্কের কোনো ক্ষতি হবে না। (ফাতহুল কাদির ৪/৯১; ফাতাওয়া হিন্দিয়া ১/৫০৭; রদ্দুল মুহতার ৩/৪৭০)


ইসলামী শরিয়তে স্বামীকে ভাই বলা অনুচিত। কেননা, হাদিস শরিফে স্ত্রীকে বোন বা আপু বলে ডাকাকে মাকরুহ তথা অপছন্দনীয় বলা হয়েছে। 


স্বামী স্ত্রী



Comments