হাজীগঞ্জ ঐতিহাসিক বড় মসজিদ নির্মাণের ইতিহাস
চাঁদপুরিয়ানঃ
বাংলাদেশের যে মসজিদের নির্মাণ শৈলী এবং পাথর কেটে তৈরি করা আরবি ক্যালিওগ্রাফি। সৌখিন শোভাবর্ধনের কারুকার্যখচিত পাথরগুলো মুগ্ধ করে মানুষকে।
যে মসজিদ প্রাকৃতিক আলোয় বর্ণিল রঙে রঙিন উজ্জ্বল বর্ণ ধারণ করা। অপরূপ সৌন্দর্যমণ্ডিত পাথরে খোদাই করা স্থাপত্যশৈলী মুগ্ধ করে সবাইকে।
চোখজুড়ানো নির্মাণশৈলী আর মুসলিম শিক্ষা সংস্কৃতির সাথে মিল রেখে নির্মাণ করা হয়েছে এই মসজিদের স্থাপত্যশৈলী। নানা রুপ আর বৈচিত্র্যময় ইতিহাসের সাক্ষী হাজীগঞ্জ ঐতিহাসিক বড় মসজিদ।
আজ আমরা আপনাদেরকে এই মসজিদের সম্পর্কে বিস্তারিত জানাবো।
চাঁদপুর জেলার সবচেয়ে পুরনো মসজিদ হিসেবে ধরা হয় হাজীগঞ্জ ঐতিহাসিক বড় মসজিদকে (Hajiganj boro masjid) । ১৯৩১ সালে এই মসজিদটি নির্মাণ করার প্রথম উদ্যোগ গ্রহন করেন হাজী আহম্মদ আলী পাটোয়ারী।
জনশ্রুতি আছে, যখন এই মসজিদটি নির্মাণ কাজ শুরু করেন। তখন এই এলাকার আশেপাশে কোথাও ইটের ভাটা ছিল না। ফলে উদ্যোক্তার নিজেই একটি ইটভাটা প্রতিষ্ঠা করেন। তারপর সেই ইটভাটার ইট দিয়ে নির্মাণ করেন হাজীগঞ্জ বড় মসজিদ খ্যাত ঐতিহাসিক এই মসজিদটি। শুধু তাই নয়, মসজিদের নির্মাণ কাজে ব্যবহারের লোহার বীম ও মর্ম কিনে আনেন ভারতের কলকাতা থেকে। যার জন্য আস্তা জাহাজ ভাড়া করা হয়।
বর্তমানে সর্বমোট ২৮,৪০৫ বর্গফুট জায়গা জুড়ে অবস্থিত দুইতলা বিশিষ্ট এই মসজিদটিতে একটি ১২১ ফুট লম্বা মিনার ও বিশাল আকারের দুইটি গুম্বজ রয়েছে।
মসজিদটি নির্মান কাজ শেষ হয় ১৯৩৭ সালে। তারপর শুক্রবারে জুমার নামাজের আযান দেওয়ার মাধ্যমে উদ্বোধন করেন মসজিদ।
মসজিদে ভিতর ও বাহিরের সৌন্দর্য দেখুন ভিডিওতেঃ
কি ভাবে যাবেন?
চাঁদপুর থেকে হাজিগঞ্জে সিএনজি কিংবা বাসে করে যেতে পারবেন। আর হাজিগঞ্জ উপজেলার হাজিগঞ্জ বাজারের মাঝখানেই অবস্থিত ঐতিহাসিক বড় মসজিদটি। তাই যেকোন উপায়ে হাজীগঞ্জ এসে মসজিদের সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারবেন ।
কোথায় থাকবেন?
হাজীগঞ্জে থাকার মত অনেক হোটেলে রয়েছে। এছাড়াও, চাঁদপুর এসে থাকতে পারেন।
কোথায় খাবেন?
হাজীগঞ্জ বাজারে অনেক গুলো হোটেল রয়েছে। সেখানে অনেক মজা মজার খাবার খেতে পারেন। হাজীগঞ্জের হোটেলের খাবারের মানুষ অনেক ভালো।
❤️❤️
ReplyDelete